ঢাকা,মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

চকরিয়ায় সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে‘‘নাগরিক সভা’’অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ নভেম্বর. মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চকরিয়া কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সভায় বক্তারা চকরিয়া উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা ভূমি অফিসের সেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন এবং সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি চকরিয়ার সভাপতি ও চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বুলবুল জান্নাত শাহিন এর সভাপতিত্বে সনাক চকরিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত নাগরিক সভায় চকরিয়া উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ, নারী উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ, যুব সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সনাক-টিআইবি চকরিয়ার এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. আবু বকর এর সঞ্চালনায় উক্ত নাগরিক সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সনাক-টিআইবি চকরিয়ার চলমান প্যাকটা প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন টিআইবি চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের কো-অর্ডিনেটর মো. জসিম উদ্দিন। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন, সনাক চকরিয়া সরকারি বিভিন্ন সেবাক্ষেত্রে মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় রিংভং দক্ষিন পাহাড় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষায় শাক্যমুনি উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা ভুমি অফিসকে নির্ধারণ করে কার্যক্রম শুরু করেছে। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনার মূল্য লক্ষ্য হলো সনাক চকরিয়া কর্তৃক গঠিত অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক অ্যাপভিত্তিক কমিউনিটি মনিটরিং এর মাধ্যমে উল্লেখিত সেবাখাতগুলোতে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে অ্যাডভোকেসি সভা করা। অ্যাপভিত্তিক কমিউনিটি মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা, কর্তৃপক্ষের সাথে অ্যাডভোকেসি করা, বিভিন্ন দিবস উদযাপন ও ক্যাম্পেইন আয়োজনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের সেবাগ্রহীতাদের সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চকরিয়া ইতোমধ্যে উল্লেখিত চারটি প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চারটি “এসিজি” গঠন করেছে এবং নির্বাচিত ৬৬ জন এসিজি সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।

প্যাকটা প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরার পর সভায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ভূমি সেবাখাতসমূহের বিদ্যমান উল্লেখযোগ্য সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন এবং সমাধানের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তাগণ সরকারি সেবাখাতের মানোন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে গণশুনানী আয়োজনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

উক্ত নাগরিক সভায় মতামত প্রদানপূর্বক বক্তব্য প্রদান করেন ডুলাহাজারা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক সিন্টু কুমার চৌধুরী, সাংবাদিক এম.আর মাহমুদ, মন্জুর আলম, মনসুর আলম রানা, বাপ্পি শাহরিয়ার, এম রিদুয়ানুল হক, জুলফিকার আলী ভুট্টু, এন. জি. ও প্রতিনিধি মো. শাহাব উদ্দিন, মো. মামুনুল ইসলাম, নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রদিনিধি শারমিন জান্নাত ফেন্সি, সনাক সদস্য জারিয়াতুল মোস্তফা, সন্তোষ কুমার সুশীল, সারোয়ার জাহাঙ্গীর প্রমূখ।

সনাক সভাপতি বুলবুল জান্নাত শাহিন তার বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন।

 

পাঠকের মতামত: